কলাপাড়া পৌরসভার মাছ বাজার ভবন
কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিল তোলার অভিযোগ
আপলোড সময় :
০৯-১১-২০২৪ ০৩:০০:২২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৯-১১-২০২৪ ০৮:৩৫:৪৬ অপরাহ্ন
নবনির্মিত পৌর মাছ ভবন। ছয় মাস না যেতেই সিড়ির টাইলস ভেঙ্গে গেছে। ভিতরে জমে যায় পানি। সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভার মাছ বাজার ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এ বছর জুন মাসের শেষের দিকে। অথচ চুড়ান্ত বিল তৈরি করা হয়েছে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। কাজ শেষ হওয়ার আগে কীভাবে বিল উত্তোলন করা হলো তা নিয়ে উঠেছে অভিযোগ। কলাপাড়া পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিলের চেক প্রদান করা হয়েছে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে। ২০২২ সালের ৭ জুলাই একই প্যাকেজে মাছ বাজার ভবন। একটি পাবলিক টয়লেট ও বাসস্ট্যান্ড যাত্রী ছাউনি নির্মাণের জন্য যৌথভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘অন্তরা ট্রেডিং কোম্পানি ও কমল চন্দ্র দাস’কে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এক কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয় চুক্তিবদ্ধ হয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর এ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি।
দেখা গেছে, বাজারের ভবনটি উদ্বোধনের ফলকে কৌশলে তারিখ লেখা হয়নি। ছয় মাস না যেতেই প্রবেশদ্বারের সিঁড়ির টাইলস ভেঙে উঠে গেছে। ফ্লোরে পানি জমে থাকে। ক্রেতারা হাঁটতে পারে না, ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে পুরো ভবনটি করা হয়েছে। তবে ঠিকাদারের জামানত বাবদ আট লাখ ১২ হাজার টাকা ছাড় করা হয়নি। পুনরায় মেরামত করে দেওয়ার জন্য সাব কন্ট্রাক্টর নুর মোহাম্মদকে বলা হয়েছে। এরপরে জামানত দেওয়া হবে।
কলাপাড়া পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ যথাযথ তদারকির অভাবে ঠিকাদাররা যাচ্ছেতাই করেছেন। শুধু কমিশন বাণিজ্যের কারণে তদারকি কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলীরা ছিলেন চরম উদাসীন। সচেতন মানুষ এর আইনি প্রতিকার চেয়েছেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার প্রশাসক মো. রবিউল ইসলাম জানান, তিনি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিনিধি/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স